ভারতের ১৮৫ রানের জবাবে খেলতে নেমে উড়ন্ত সূচনা করেছে বাংলাদেশ। উদ্বোধনী ব্যাটার লিটন কুমার দাসের তিন ছক্কা ও সাত চারে বাংলাদেশ কোনো উইকেন না হারিয়ে ৬ দশমিক ৩ ওভারে ৬৪ রান তুলেছে। লিটন ২৬ বলে এ রান করেন। তবে অন্য প্রান্তে নাজমুল হোসেন শান্ত ধীরগতির ব্যাটিং করে চলেছেন।
তিনি ১৬ বল খেলে মাত্র ৭ রানে অপরাজিত রয়েছেন। বাংলাদেশের জয়ের জন্য প্রয়োজন ৭৮ বলে ১১৯ রান।
তবে বৃষ্টির কারণে খেলা আপাতত বন্ধ রয়েছে।
এর আগে ভারত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৮৪ রান তোলে। সুপার টুয়েলভের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে বুধবার (২ অক্টোবর) অ্যাডিলেড ওভালে ভারতের মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ। টসে জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশি কাপ্তান সাকিব।
অধিনায়কের সিদ্ধান্তকে ভুল প্রমাণ করেননি তাসকিন। প্রথম ওভারেই আগ্রাসী বোলিংয়ে চাপের মুকে ভারত। প্রথম ওভারে দেন মাত্র ১ রান। দ্বিতীয় ওভার করতে এসে শরীফুল একটু খরুচে প্রমাণিত হন। ২ ওভার শেষে ভারত সংগ্রহ বিনা উইকেটে ১০।
নিজের দ্বিতীয় ও ম্যাচের তৃতীয় ওভারে রোহিতকে ফেরাতে পারতেন তাসকিন। তবে সেই সুযোগ হাত ছাড়া করেন পেসার হাসান মাহমুদ। বাউন্ডারিতে সহজ ক্যাচ ফেলে দেন তিনি। তবে এই ওভারেও মাত্র এক রান দেন তাসকিন।
ম্যাচের চতুর্থ ওভার করতে এসে নিজের ভুল শোধরান হাসান। ফেরান ভারতীয় কাপ্তানকে। ইয়াসির আলীর তালুবন্দি হন তিনি। তবে সেই ওভারেই এক চার ও এক ছক্কা মেরে বসেন লোকেশ রাহুল।
সবমিলিয়ে পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে ১ উইকেটে ৩৭ রান তোলে রোহিতের দল।
ডানহাতি পেসার তাসকিনকে ইনিংসের ৭ ওভারের মধ্যে ৪ ওভার বল করিয়ে ফেলেন সাকিব। উইকেট না পেলেও তাসকিন ২৪ বল করে দেন মাত্র ১৫ রান।
দ্বিতীয় উইকেটে লোকেশ রাহুল আর বিরাট কোহলি ৩৭ বলে গড়েন ৬৭ রানের ঝোড়ো জুটি। ৩১ বলে ফিফটি পূরণ করেন রাহুল। তবে এরপর আর টিকতে পারেননি। সাকিবের ঘূর্ণিতে শর্ট ফাইন লেগ আকাশে তুলে দেন বল, ক্যাচ নেন মোস্তাফিজুর রহমান। রাহুলের ঝোড়ো ইনিংসে ৩টি চারের সঙ্গে ছিল ৪টি ছক্কা। অন্যপ্রান্তে থাকা কোহলি নিজের ফর্মেই খেলতে থাকেন।
রাহুলের উইকেটের পর মাঠে নামেন দুর্দান্ত ফর্মে থাকা সূর্যকুমার। তবে ইনিংসের ১২তম ওভারে সাকিব একবার সূর্যকে ফেরানোর সুযোগ তৈরি করেছিলেন। তার বলে সুইপ করতে গিয়ে সূর্যর ব্যাটে টপ-এজড হয়ে বলটা উঠে গিয়েছিল আকাশে। তবে মুস্তাফিজ ক্যাচটা তালুবন্দি করতে পারেননি। তবে ২ ওভার পরে সেই সূর্যকে ফিরিয়েছেন সাকিবই। ৩০ রানে প্যাভিলিয়নে ফেরেন এই ভারতীয় ব্যাটসম্যান।
মুস্তাফিজ-হাসানদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে শেষদিকে রানের গতি কিছুটা কমে। হার্দিক পান্ডিয়া ও অক্ষর প্যাটেলকে দুই অঙ্ক ছোঁয়ার আগেই ফিরিয়েছেন হাসান মাহমুদ আর দিনেশ কার্তিক ফিরেছেন রান আউট হয়ে।
বেশকিছু উইকেট হারিয়ে যখন কিছুটা দিশেহারা ভারত এক প্রান্ত আগলে রেখে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিলেন কোহলি একাই। শেষ ওভারে শরীফুলকে বেধড়ক পিটিয়েছে কোহলি ও অশ্বিন। তাদের বদৌলতে ১৮৪ রানের বিশাল সংগ্রহ পায় ভারত। ম্যাচ শেষে ৪৪ বলে ৬৪ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন কোহলি।
বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট নিয়েছেন হাসান মাহমুদ। দুটি উইকেট গেছে অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের ঝুলিতে।